
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল আবাহনী। আজ শনিবার সুপার লিগের শেষ দিনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টানা দুই আসরে শিরোপা জিতে নেয় ধানমন্ডির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে মোসাদ্দেকদের আবাহনী। ১৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪২ রান করতে পারে প্রাইম ব্যাংক।
সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক ১৪২ রানে থামে। ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই হেরে গিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তবে রুবেল মিয়ার কার্যকরী ৪১ রানের ইনিংসে ম্যাচে ফেরে তারা। এরপর ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনকে পরপর চার-ছয় মেরে অলক কাপালি বাড়িয়ে দেন রোমাঞ্চ। যদিও শেষ পর্যন্ত আর পারেনি এনামুল-তামিমদের নিয়ে গড়া প্রাইম ব্যাংক।
শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন হলেও নিতে পেরেছে মাত্র ৭ রান। প্রথম ৩ বল ডটের পর চতুর্থ বলে লং অনে ৬ মেরেছিলেন কাপালি। রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে কাপালির ১৭ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংসটি বৃথা যায়।
পুরো লিগে ধারাবাহিকভাবে ভালো করা সাইফউদ্দিন আজও দলের সেরা বোলার। ৩৬ রান খরচায় তার শিকার ৪ উইকেট। এছাড়া মেহেদী হাসান রানা ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা আবাহনী ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানোর পর নাজমুল হোসেন শান্ত-মোসেদ্দেক হোসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় শিরোপা জেতা দলটি।
শান্ত সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৪৫ রান করেন। মোসাদ্দেক খেলেন ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। শেষ দিকে সাইফউদ্দিনের ১৩ বলে ২১ রানের ইনিংস দলের স্কোরকে দেড়শ রানে নিয়ে যায়। প্রাইম ব্যাংকের রুবেল হোসেন ২২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
এর আগে আবাহনী ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত টানা তিনবার ট্রফি জিতেছিল। তবে তখনও লিস্ট ‘এ’র মর্যাদা পায়নি প্রতিযোগিতাটি। ২০১৩-১৪ আসরে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পায় ঢাকা লিগ। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্স। আর এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতলো আবাহনী।