
ক্রিস ওকস
করোনার এ সময়টায় বায়ো-বাবলের মধ্যে থাকতে গিয়ে খেলোয়াড়দের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। ভারতে চার টেস্টের সিরিজ খেলছে ইংলিশরা। এতটা সময় কঠোর নিয়ম-কানুনের মধ্যে থেকে যেন খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন, সেজন্য সফরকারী দলের ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিশ্রাম দেয়া হচ্ছে।
সে কারণে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে বিশ্রামে ছিলেন অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস। আহমেদাবাদে তৃতীয় টেস্টে তার খেলার কথা ছিল। কিন্তু সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে দুই অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন আর স্টুয়ার্ট ব্রডকে বাইরে রাখার সাহস করেনি ইংলিশরা।
তবে আহমেদাবাদের মোতেরায় দুই পেসার কোনো কাজেই আসেননি। এমনই পিচ ছিল, তাতে রাজ করেছেন কেবল স্পিনাররাই। ভারতের সঙ্গে যে লড়াইয়ে পেরে উঠেনি ইংল্যান্ড, হেরেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর শেষ টেস্টে আর ওকসকে খেলানোর জায়গা দেখছে না ইংলিশ টিম ম্যানেজম্যান্ট। তাই ওয়ারউইকশায়ার অলরাউন্ডারকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৩১ বছর বয়সী ওকসের শীতটা কেটেছে হতাশাতেই। দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাতেও টেস্ট দলের সদস্য ছিলেন তিনি। জায়গা হয়নি একাদশে। এবার কোনো টেস্ট না খেলে ফিরতে হচ্ছে ভারত থেকেও।