
এতদিন ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন। তবে সোমবার থেকে চল্লিশ বছর বয়সীরাও করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
টিকার জন্য নিবন্ধনের ওই বয়সসীমা শিথীলের জন্য সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুশাসন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, এটা আজকে থেকেই কার্যকর হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইয়াংদের জন্য আস্তে আস্তে (রেজিস্ট্রেশন) ওপেন করে দিতে হবে। ফ্রন্টলাইনার যারা আছেন, তাদের ফ্যামিলির জন্যও ওপেন করে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ওইদিনই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে নিবন্ধন শুরু হয়।
তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে ১৯টি শ্রেণিতে নিবন্ধন করার সুযোগ রাখা হয়। এর মধ্যে একটি শ্রেণি ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের জন্য। বাকিগুলো সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির জন্য।
ওই ১৮টি শ্রেণিতে আছেন সরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী; অনুমোদিত সকল বেসরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী; প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্মকর্তা-কর্মচারী; বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা; সম্মুখসারির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য; সামরিক ও আধা সামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী, রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য কার্যালয়ের কর্মীরা।
এ ছাড়া রয়েছেন সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী; নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি; সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী; ধর্মীর প্রতিনিধি (সকল ধর্ম); মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ব্যক্তি; বিদ্যৎ, পানি, গ্যাস, পয়ঃনিস্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের মত জরুরি সেবার সম্মুখসারির কর্মী; রেল স্টেশন, বিমান বন্দর ও নৌ বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী; জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মী ও প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।
এখন সাধারণ নাগরিক শ্রেণিতে ন্যূনতম বয়সের সীমা ৫৫ বছর থেকে কমিয়ে ৪০ বছর করা হচ্ছে, যা সোমবার থেকেই কার্যকর হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
টিকা নিতে যারা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে পারেননি তারা তাদের এনআইডি নিয়ে টিকাকেন্দ্রে গেলে সেখানেও নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।