
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব বিসিএসের পরীক্ষা ও আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে চলমান বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সোমবার দুপুরে ভার্চুয়ালি এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কারো বয়স শেষ হলে তাকে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত করা হবে না। যোগ্যরা যেন আবেদন করা থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিসিএস পরীক্ষা ও আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হবে। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে আলোচনা করে সকল বিসিএসের আবেদন ও পরীক্ষার সময় বাড়ানো হতে পারে।
এদিকে ঈদ-উল-ফিতরের পর ২৪ মে থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে বলে সোমবার দুপুরে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ ঘোষণা করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সকল ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৪ মে’র আগে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনও পরীক্ষা নিতে পারবে না। বিসিএস পরীক্ষার তারিখও সমন্বয় করতে হবে। যেসব পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তা বন্ধ রাখতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছে। সেসব পরীক্ষাও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে হল খুলতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিও তারা জানান।