
লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ করে পোশাক কারখানা খোলা রাখার প্রতিবাদে সাভারে রাস্তায় নেমেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকালে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়ে গণপরিবহণ না পেয়ে হাজিরা কাটার ভয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা।
একপর্যায়ে শ্রমিকেরা সমবেত হয়ে রেডিও কলোনি, শিমুলতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এই অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী অসংখ্য মানুষ। শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, কারখানায় বিলম্বে উপস্থিত হলে হাজিরা কাটা হয়। সরকার লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ করলেও পোশাক কারখানা খোলা রেখেছে। কিন্তু শ্রমিকেরা কীভাবে কারখানায় যাবেন, সে ব্যবস্থা না থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক বিপাকে পড়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে তিনদিনের সীমিত লকডাউন। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ থাকবে।
এ সময়ে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। খোলা থাকলেও হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না।
এই লকডাউন ঘোষণা করে রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে হবে কঠোর লকডাউন।
করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।