
ফাইল ছবি
গ্রেপ্তার শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী দুই বছর আগে গোপনে নিয়ে করেছিলেন বলে দাবি করেছে র্যাব। তার স্ত্রীর নাম আসমা। তাদের এই বিয়ের কথা দুই পরিবারের কেউ জানত না।
আজ বুধবার ভোরে রফিকুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে র্যাব। বিকেলে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
র্যাব বলছে, হেফাজতের সঙ্গে তার সখ্যতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কটূক্তির বিষয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর ফোনে অনেক কিছু পাওয়া গেছে। আমরা এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের পরপরই তার মোবাইল ফোন চেক করে দেখে র্যাব। এ সময় তার মোবাইলে একাধিক পর্নো ভিডিও পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
র্যাব জানায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে মাদানী তার ভাবি পারভীন আক্তারের চাচাতো বোনকে গোপনে কলেমা পড়ে বিয়ে করেন। তাদের এই বিয়ের কোনো কাবিননামা রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। এমনকি ভাবি পারভিন ছাড়া দুই পরিবারের কেউই এই বিয়ের কথাও জানতেন না।
গত মঙ্গলবার রফিকুল ইসলাম মাদানী স্বজনদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিয়ের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ফুলপুরের রহিমগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসমাদের বাড়িতে যান। কিন্তু আসমার পরিবার এই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
মাদানী নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকার বারিধারার জামিয়া মাদানীয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। খর্বাকৃতির শারীরিক গঠন হলেও তার বয়স প্রায় ২৬-২৭ বছর। খর্বাকৃতির কারণে তিনি ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত।